১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে।
আওয়ামী লীগের চিপ হুইপ দিনাজপুরের সাংসদ অধ্যাপক ইউসুফ আলী শপথ বাক্য পাঠ করান ।
পরে তাজউদ্দিন এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়।
এ দিন ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়।
ঘোষণাপত্রে সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত
১।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি
২।সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি
৩।তাজউদ্দিন আহমেদ অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী,
৪।খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী,
৫।ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং
৬।এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ,
৭ । জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার নিযুক্ত হন।
৮ । লে. কর্ণেল ( অব.) আব্দুর রব চিপ অব স্টাফ
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ . কে. খন্দকার ডেপুটি চিপ অব স্টাফ নিযুক্ত হন
।
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রাণালয় ছিল ১২ টি । সামরিক – বেসামরিক সকল কার্যক্রম সহ যাবতীয় প্রশাসন পরিচালিত হয় এসব বিভাগের মাধ্যমে ।
১১ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ দেশবাসীর উদ্দেশে বেতার ভাষণ দেন, যা আকাশবাণী থেকে একাধিকবার প্রচারিত হয়। তাজউদ্দিনের ভাষণের মধ্যদিয়েই দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আইনানুগ সরকার গঠিত হয়েছে। এই পথপরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
উল্লেখ্য , ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথের ২ ঘণ্টা পর পাকিস্তানি বিমান বাহিনী মুজিবনগরের বোমা বর্ষণ করে ও মেহেরপুর দখল করে নেয় । ফলে মুজিবনগর সরকারের সদর দপ্তর ৮নং থিয়েটার রোডে স্থানান্তর করা হয় যা শেক্সপিয়র সরণি নামেও পরিচিত ।
।
১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।অস্থায়ী সরকার / মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।