মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিবাহিনী কমান্ডসমূহ গঠনের কারন
৪ এপ্রিল ১৯৭১সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে (বর্তমান হবিগঞ্জ ) এমএজি ওসমানের নেতৃত্বে ৫০০০সামরিক ও ৮০০০বেসামরিক মোট ১৩ হাজার যোদ্ধা নিয়ে মুক্তিফৌজ নামে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়। ১২ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মুক্তিফৌজ নাম পরিবর্তন করে বাহিনীর নামকরণ করা হয় মুক্তিবাহিনী।
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড আলোচনা করা হলোঃ
মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডঃ ২৬ মার্চ ১৯৭১ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইপিআরের ওয়ারলেস যোগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী কাছে একটি বার্তা বা বাণী প্রেরণ করেন তিনি সেখানে উল্লেখ করেছিলেন “This may be last message to you from today Bangladesh is independent” এটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ঐ মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।
৪ এপ্রিল ১৯৭১সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে (বর্তমান হবিগঞ্জ ) এমএজি ওসমানের নেতৃত্বে ৫০০০সামরিক ও ৮০০০বেসামরিক মোট ১৩ হাজার যোদ্ধা নিয়ে মুক্তিফৌজ নামে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়েছিল। ১২ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মুক্তিফৌজ নাম পরিবর্তন করে বাহিনীটির নামকরণ করা হয় মুক্তিবাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডঃ
১। সর্বাধিনায়ক- রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান
২। সহ-সর্বাধিনায়ক- উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম
৩। প্রতিরক্ষামন্ত্রী- প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ
৪। প্রধান সেনাপতি-এমএজি ওসমানী(মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানীর অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে নিম্নরূপঃ
এমএজি ওসমানীর অধীনে দুটি অংশে ভাগ হয়ে যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। এর একটি অংশ ছিল চীফ অব স্ট্যাফ কর্নেল আব্দুর রব এবং আরেকজন ছিলেন ডেপুটি চিফ-অফ-স্ট্যাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার। কর্নেল আব্দুর রব এর অধীনে দুটি বাহিনী ছিল। একটি নিয়মিত বাহিনী এবং অপরটি সেক্টর বাহিনী। ব্রিগেড ফোর্স ছিল ৩টি সেগুলো হল জেড ফোর্স, এস ফোর্স ও কে ফোর্স। জেড ফোর্স নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। তার নামের আদ্যক্ষর দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে জেড ফোর্স। এস ফোর্স এর নেতৃত্বে ছিলেন কে এম শফিউল্লাহ। শফিউল্লাহ এর নামের আদ্যক্ষর দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে এস ফোর্স। কে ফোর্স এর নেতৃত্বে ছিলেন খালেদ মোশারফ। খালেদ মোশারফ এর নামের আদ্যক্ষর দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে কে ফোর্স।অন্যদিকে ১-৬ নং সেক্টর ছিল চীফ অব স্ট্যাফ অথ্যাৎ কর্ণেল আব্দুর বে এর অধীনে। অন্য দিকে ডেপুটি চীফ অব স্ট্যাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার অধীনে ছিল সেক্টর বাহিনীর ৭-১১ নং সেক্টর।
১১টি সেক্টরের মধ্যে ১০নং সেক্টরে ছিল একটু ব্যতিক্রম। কারণ ১০নং সেক্টর ছিল নৌবাহিনী বিশেষায়িত সেক্টর এবং বাকি সেক্টর গুলো ৬৪টি সাব সেক্টরে বিভক্ত ছিল। এই বাহিনীগুলো ছাড়াও কিছু অনিয়মিত বাহিনীর যুদ্ধ করেছে।