বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা চিঠি, টেলিগ্রাফ, ফ্যাক্স, বেতার, মোবাইল ফোন,স্যাটেলাইট ফোন, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, ওয়াই-ম্যাক্স, ওয়াই-ফাই ইত্যাদি দ্বারা গঠিত। সরকার এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে প্রণোদনা টেলিযোগাযোগ শিল্পের বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে এবং এটি এখন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প। একটি জনবহুল দেশ হিসেবে এর বিশাল বাজার অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করেছে।
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এর ভূ-উপগ্রহকেন্দ্রঃ
১. বাংলাদেশে ভূউপগ্রহ কেন্দ্রের সংখ্যা সর্বমোট ৪টি। এগুলো তালিবাবাদ, বেতবুনিয়া, মহাখালী (ঢাকা) ও সিলেট জেলায় অবস্থিত
২. হালিবাবাদ অবস্থিত গাজীপুর জেলায়। কেন্দ্রটি চালু হয় জানুয়ারি, ১৯৮২ সালে। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র।
৩. বেতবুনিয়া অবস্থিত রাঙামাটি জেলায়। এটি বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। কেন্দ্রটি স্থাপিত হয় ১৯৭৫ সালে।
৪. সিলেট ভূউপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হয় ১৯৯৭ সালে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতঃ জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০২ সালের অক্টোবরে ঘোষিত হয়েছে। কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষাদানের জন্য সারাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে ১৫০০ ইন্সটিটিউট চালু আছে। ২৮ মার্চ, ২০০২ তারিখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে নতুন আঙ্গিকে ‘বিজ্ঞান এবং তথ্য ও প্রযুক্তি’ মন্ত্রণালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। হাইটেক পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে ঢাকার অদূরে কালিয়াকৈর উপজেলায়।
ডাকব্যবস্থাঃ একজন ধাবমান রানারের কাঁধে ঝোলানো চিঠির ব্যাগ, হাতে একটি বলম এবং বলমের মাথায় প্রজ্বলিত লণ্ঠন। ডাক বিভাগের মনোগ্রামে লেখা রয়েছে ‘সেবাই আদর্শ’। স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশিত হয় ২১ ফেব্রুয়ারী, ৭২। এর ডিজাইনার ছিলেন রিপ্টি চিন্টনিশ। এতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি ছিল। ইন্ডিয়া সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে এ ডাকটিকেট ছাপা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই মুজিবনগর সরকার ৮টি ডাকটিকেট প্রকাশ করে। এগুলো ডিজাইন করেছেন বিমান মালিক।
মোবাইল কোন প্রযুক্তিঃ ১৯৯৩ সালে সিটিসেল কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ মোবাইল ফোনের জগতে প্রবেশ করে। পরে ১৯৯৬ সালে সরকার গ্রামীণ ফোন, একটেল এবং সেবা-এ তিনিটি কোম্পানিকে মোবাইল ফোনের লাইসেন্স দেয়। দিন দিন মোবাইল ফোনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
টেলিভিশনঃ
বাংলাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয়েছিল ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে টেলিভিশনকে জাতীয়করণ করা হয়। পূর্বে এটি একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ছিল। ১৯৭৫ সালের ৬ মার্চ ডিআইটি থেকে রামপুরায় স্থানান্তর করা হয়। ১ ডিসেম্বর ১৯৮০ সাল হতে টেলিভিশনে রঙিন অনুষ্ঠান চালু সম্প্রচার হয়। ১৯৬৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো একটি নাটক ‘একতলা ও দোতলা’ প্রচারিত হয়। ১১ এপ্রিল ২০০৪ হতে বাংলাদেশ টেলিভিশন স্যাটেলাইট সম্প্রচার শুরু করে। এই চ্যানেলের নাম ‘বিটিভি ওয়ার্ল্ড। বিটিভি সিএনএন কার্যক্রম সম্প্রচার শুরু করে ২৯ সেপ্টেম্বর’৯২। চট্টগ্রাম টিভি স্টেশন চালু হয় ১৯ ডিসেম্বর’৯৬। বিটিভির প্রথম সংগীতশিল্পী হলেন ফেরদৗসী রহমান। বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিবিসি’র অনুষ্ঠান সম্প্রচার আরম্ভ হয় ১ এপ্রিল, ১৯৯৩। বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র ২ টি-ঢাকা ও চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম প্রথম গৃহীত হয় ১৯৯৪ সালে।
সংবাদপত্রঃ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে এক সরকারি আদেশ বলে জাতীয় সংবাদ সংস্থা হিসেবে আবির্ভুত হয়। যন্ত্রসরঞ্জামহীন অবস্থায় প্রাক্তন এপিপির অল্প সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে এ সংস্থা কার্যক্রম শুরু করে।
ই্উনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ UNB: ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) ১৯৮৮ সালে সংবাদ সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এটি নিজেকে সরকারি প্রভাবমুক্ত স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গির সংস্থা হিসেবে দাবি করে।
ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সি (এনা): ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সি (এনা) বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা। ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই এটি পুরোদন্তর সংবাদ সংস্থায় পরিণত হয়। এ সংস্থা ঘটনাবহুল বছর’ ৭০-৭১ সনের সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জননন্দিত হয়। পরিণতিতে, পাকিস্তানি সামরিক জান্তার কোপানলে পড়ে সংস্থাটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে এনা আবার কার্যক্রম শুরু করে।
আমাদের কোর্সসমূহঃ https://super30bangladesh.com/courses/
Facebook: https://www.facebook.com/super30bangladesh
YouTube: https://www.youtube.com/c/super30bangladesh-BCS-preparation