স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ‘বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন’ গঠন
শিক্ষা কমিশনঃ ভারতীয় উপমহাদেশে শিক্ষা কমিশনের যাত্রা শুরু ১৮৮২ সালে। উইলিয়াম হান্টারকে প্রধান করে গঠিত এই কমিশনের অন্যতম সুপারিশ ছিলো জেলা স্কুল প্রতিষ্ঠা। পাক-ভারত বিভক্তির পর ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে প্রথম জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠিত হয় যার নাম ছিলো শরীফ কমিশন। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭২ সালে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন’ যার প্রধান ছিলেন কুদরত-ই-খুদা। ৫ম শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় ২০০৩ সালে। এই কমিশনের প্রধান ছিলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া।
শিক্ষা কাঠামোর প্রকারভেদ
শিক্ষা কাঠামোঃ বর্তমানে দেশে শিক্ষা কাঠামো চারস্তর বিশিষ্ট। যেমন প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষা। পঞ্চম শিক্ষা কমিশন তাদের সুপারিশমালায় শিক্ষার স্তরকে তিন ভাগে রাখার সুপারিশ করেছে
গ্রের্ডি সিস্টেমঃ ২০০১ সালে এসএসসি ও দাখিল পর্যায়ে পরীক্ষায় প্রথম গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথম গ্রেডিং পদ্ধতি ছিল ছয় ধাপের। পরে ২০০৩ সালের ৪ জানয়ারী গ্রেডিং পদ্ধতির পুনর্বিন্যাস করে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি চালূ করা হয়।
শিক্ষার হার বাড়ানোর লক্ষ্যে উপবৃত্তি চালু
উপবৃত্তি প্রকল্পঃ মাধ্যমিক স্তরে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানো লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৪ সালে উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প চালু করে। পরবর্তীতে ২০০২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও উপবৃত্তি প্রদান শুরু হয়। ২০০২ সাল হতে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান শুরু হয়।
বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাঃ ১ ডিসেম্বর, ৯০ থেকে বাংলাদেশে এ কর্মসূচী চালু হওয়ার কথা ছিল। সরকার কর্তৃক ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারী হতে এ কর্মসূচীর অধীনে প্রাথমিকভাবে ৬০টি স্কুলে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়। ১৯৯৩ হতে সারা দেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়।
UGC: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলের মধ্যে সমন্বয়সাধানকারী প্রতিষ্ঠান। ১৫ ফেব্রুয়ারী ৭৩ রাষ্ট্রপতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় সরকারের সরাসরি কোন ভূমিকা পালনের সুযোগ নেই। ১২ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিশনে একজন চেয়ারম্যান, ২ জন পূর্ণকালীন সদস্য এবং ৯জন খণ্ডকালীন সদস্য থাকে।
জাতীয় অধ্যাপকঃ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ সরকারি স্বীকৃতি জাতীয় অধ্যাপক। এক জাতীয় অধ্যাপককে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। তবে একাধিক মেয়াদের জন্য পুনঃনিয়োগ করা যেতে পারে। জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অধ্যাপক নির্ধারণ কমিটি। এ কমিটির মনোনয়নের পর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় অধ্যাপক’ নিয়োগ করেন।
শিক্ষা বোর্ডঃ সদ্যঘোষিত দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড সহ দেশে মোট শিক্ষাবোর্ড ১০টি। এর মধ্যে ৮টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ১টি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড এবং ১টি কারিগরি শিক্ষাবোর্ড।