fbpx

উপমহাদেশে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন

ইউরোপীয়দের বাণিজ্য
ইউরোপীয়দের বাণিজ্য এর চিত্র

উপমহাদেশে ইউরোপীয় দের বাণিজ্য বিস্তার

যুগযুগ ধরে উপমহাদেশের সাথে স্থল ও জলপথে ইউরোপীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের যোগাযোগ ছিল। কারণ উপমহাদেশের ধনসম্পদের আকর্ষণ বিদেশিদের এ অঞ্চলে আসতে আগ্রহী করে তোলে। ফলে উপমহাদেশে ইউরোপয়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কিন্তু তখন জলপথের বাণিজ্য শুধু আরব বণিকদের হাতেই ছিল। পনের শতকের শেষের দিকে পাশ্চাত্য থেকে উপমহাদেশে পৌঁছবার নতুন জলপথ আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্দরসমূহ হতে বিভিন্ন দ্রব্যাদি সরাসরি ইউরোপীয় বন্দরে পৌঁছাতো। এভাবে উপমহাদেশের সাথে ইউরোপের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং উপমহাদেশের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে; যা পরবর্তীকালে উপমহাদেশের ইতিহাসের ধারাকে পরিবর্তন করে আধুনিক যুগের সূচনা করেছিল।উপমহাদেশে ইউরোপীদের আগমনের কারণ ছিল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করা।

উপমহাদেশে ইউরোপীয় দের জলপথ আবিস্কারঃ

জলপথ আবিস্কারঃ ১৪৮৭ সালে পর্তূগীজ নবিক বার্থোলোমিউ দিয়াজ উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে পূর্বদিকে আসার পথ আবিস্কার করেন। ফলে ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা ভারতের কালিকট বন্দরে দিয়াজের সহায়তায় আসেন এবং ভারবর্ষ আবিস্কার করেন।

উপমহাদেশে ইউরোপীয়দের একচেটিয়া বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা

পর্তুগীজদের আগমনঃ ১৫১০ সালে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসে। ১৫১৭ সালে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে চট্টগ্রাম ও সপ্তগ্রামে। ১০০ বছর তাদের বাণিজ্য একচেটিয়া ছিল।

ওলন্দাজদের আগমনঃ নেদারল্যাণ্ডের বাসিন্দারা ওলন্দাজ বা ডাচ নামে পরিচিত। ১৬০২ সালে তারা ‘ডাচ-ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী’ গঠন করে।

দিনেমারদের আগমনঃ ১৬১৬ সালে ডেনমার্কের লোকেরা ‘দিনেমার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী’ গঠন করে। ১৮৪৫ সালে ইংরেজদের নিকট কুঠি বিক্রয় করে চলে যায়।

জলপথে-ইউরোপীয়-ব্যবসা
ইউরোপীয়দের জলপথ আবিষ্কার

ইংরেজদের আগমনঃ ১৬০০ সালে তারা ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠন করে। ১৬১২ সালে তারা সুরাটে কুঠি নির্মঅণ করে। ১৬৩৩ সালে শাহজাহান বঙ্গদেশে কুঠি নির্মাণের অনুমতি দেয়। ইংরেজরা পিপিলাই নামক গ্রামে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে। ১৬৯০ সালে জব চার্নক কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম ক্রয় করে এবং তাদের রাজার নামানুসারে ‘ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ নির্মাণ করে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভ করে। ১৭৬৪ সালে চট্টগ্রাম, মেদিনীপুর ও বর্ধমান জেলা কোম্পানীকে হস্তান্তরের শর্তে মীর কাসিম নবাব হন। ঐ বছরই বক্সারের যুদ্ধ হয় এবং যুদ্ধে কাসিম পরাজিত হন। ১৭৬৪ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। প্রকৃতপক্ষে দিল্লীর সম্রাট শাহ আলম এই খাজনার বিনিময়ে বাংলার মুঘল অধিকার ইংরেজদের নিকট বিক্রি করে দেয়।

ফরাসীদের আগমনঃ ১৬৬৪ সালে ফরাসী বনিকগণ ‘ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী’ গঠন করে উপমহাদেশে আসে। বাংলার চন্দননগরে এবং চেন্নাইয়ের পন্ডিচেরীতে তারা কুটি তৈরী করে। ইংরেজদের সাথে প্রবল প্রতিদ্বন্দিতায় টিকতে না পেরে ১৭৬০ সালের পরে তারা ভারত ত্যাগ করে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চীনের ভূমিকাঃ

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই চীন সরকার কট্টর পাকিস্তান ঘেঁষা নীতি অনুসরণ করে । যা স্বাধীনতাপ্রিয় বাঙ্গালী বিশেষ করে বামপন্থীদের জন্য গভীর হতাশা সৃষ্টি করে। প্রফেসর

Read More »
বনজ সম্পদ

বাংলাদেশের বনজ ও খনিজ সম্পদ

বাংলাদেশের বনজ সম্পদ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের বনভূমি তিন প্রকারঃ১.ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পত্রপতনশীল বৃক্ষের বনভূমিঃ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের এলাকা জুড়ে এ বনাঞ্চল বিস্তৃত।

Read More »
বাংলাদেশের কুটির শিল্প

বাংলাদেশের শিল্প সম্পদ

বাংলাদেশের শিল্প সম্পদ এর উন্নয়ন কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ শিল্পক্ষেত্রে এখনও কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। শিল্পখাতগুলোতে যথাযথ দিকনির্দের্শন, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান, সরকারী আনুকুল্য প্রভৃতির মাধ্যমে

Read More »
Layer 1
Login Categories
error: Content is protected !!
এই ওয়েবসাইটটি কুকিজ ব্যবহার করে এবং আপনার ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা মসৃণ করার জন্য আপনার কিছু ব্যক্তিগত তথ্য (ওয়েব ব্রাউজিং সম্পর্কীয়) সংরক্ষণ করে। আপনার ব্রাউজারের login-এর তথ্য সংরক্ষণের জন্যে "Ok, I acknowledge" বাটনে ক্লিক করুন।